প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম হিরো দ্বিতল মার্কেটের ছাদের ঢালাই কাজ করেছেন। এতে জনসচেতনতা ও সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, নিজের ফায়দা লুটতে তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের দবিরগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ৬০ জন শ্রমিক একত্রিত করে মিক্সার মেশিন চালিয়ে তার ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছে। তিনি জনপ্রতিনিধি হয়েও সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নবাসি। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং লিফলেটসহ নানা প্রচারণা চালাচ্ছে সরকার। হাট বাজারে মানুষ যেতে পারছেনা। ৫ থেকে ৭ জন একত্রিত হতে পারছেনা। অথচ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হিরো এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ৬০ জন শ্রমিক ও মিস্ত্রি দিয়ে তার দ্বিতল ভবনের কাজ ঠিকই করছেন। তারা আরও বলেন, এলাকায় বর্তমানে ঘরের মিস্ত্রি পর্যন্ত লাগাতে দিচ্ছে না ওই চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম হিরো মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, আমার এলাকায় কোন জনসমাগম নেই। জনসচেতনতায় আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রাণঘাতী করোনার মধ্যে আপনার ভবনের কাজ কিভাবে করাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি করাচ্ছিনা। ভবন আমার। সাব ঠিকাদার দিয়ে করাচ্ছি।
এলাকাবাসির অভিযোগে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে চেয়ারম্যান সটকে পড়ে। পরে সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ও চৌকিদারকেও দেখা যায়। তাদের দিয়েও ভবনের বিভিন্ন কাজ করাচ্ছেন চেয়ারম্যান। বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক এনে তিনি কাজ করাচ্ছেন। অথচ করোনা আতঙ্কে পুরো এলাকা। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুজ্জামান জানান, চারিদিকে করোনা আতঙ্ক। এরমধ্যে যদি চেয়ারম্যান এ ধরনের কাজ করে থাকেন তাহলে অন্যায় করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।